◑☞যার উসীলায় সমগ্র জগৎ সৃষ্টি
⊕◑☞ তিনিই সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু; তাঁর উসিলায় জগত সৃষ্টি ও আমরা যে জান্নাত লাভের প্রতীক্ষায় এবং জাহান্নামের ভয় পাই তাও নবীজি (ﷺ)'র ওসিলায় মহান আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন।
◑☞ হাদিসে পাকে রয়েছে
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: أَوْحَى اللَّهُ إِلَى عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا عِيسَى آمِنْ بِمُحَمَّدٍ وَأْمُرْ مَنْ أَدْرَكَهُ مِنْ أُمَّتِكَ أَنْ يُؤْمِنُوا بِهِ فَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُ آدَمَ وَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُ الْجَنَّةَ وَلَا النَّارَ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ.
-“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তা'য়ালা হযরত ঈসা (আঃ) এর নিকট ওহী নাযিল করলেন, হে ঈসা! তুমি মুহাম্মদ (ﷺ) এর উপর ঈমান আন এবং তোমার উম্মতের মধ্যে যারা তাঁর যুগ পাবে তাদেরকে ঈমান আনতে বলো। কারণ যদি মুহাম্মদ (ﷺ) না হতেন, তাহলে আমি না আদমকে সৃষ্টি করতাম, না বেহেশত, না দোযখ সৃষ্টি করতাম।” [১৩৫]
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ ফরমান :
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا مَرْفُوعًا أَتَانِي جِبْرِيلُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ لَوْلَاكَ مَا خَلَقْتُ الْجَنَّةَ وَلَوْلَاكَ مَا خَلَقْتُ النَّار
-“একদা আমার কাছে হযরত জিব্রাঈল (আঃ) এসে বললেন, হে মুহাম্মদ! (ﷺ) আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন, আপনাকে সৃষ্টি না করা হলে সৃজন না হতো বেহেশত আর না দোযখ।” [১৩৬]
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমার লিখিত প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন" ১ম খণ্ডের ১০৬-১২৬ পৃষ্ঠা পর্যন্ত দেখুন ।
⊕◑☞ রাসূল (ﷺ)র সৃষ্টি অন্যান্য সৃষ্টির মতো নয় ?
ইমাম শিহাবুদ্দীন কুস্তালানী (রহঃ) বলেন,
اعلم أن من تمام الإيمان به- صلى الله عليه وسلم- الإيمان بأن الله تعالى جعل خلق بدنه الشريف على وجه لم يظهر قبله ولا بعده خلق آدمى مثله-
-“জেনে রাখুন! রাসূল (ﷺ)'র প্রতি পরিপূর্ণ ঈমান হলো- এভাবে ঈমান আনা যে, আল্লাহ তায়ালা তার শরীর মোবারককে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যে, তার পূর্বে পরে কোন মানুষকে তার মতন করে সৃষ্টি করেননি। [১৩৭]
তাই সকলের জানা উচিত মানব জাতির অনুসরণ ও অনুকরণের সুবিধার্থে আল্লাহ তাকে বাহ্যিকভাবে মানবীয় আকৃতি ও মানবীয় কতেক গুণাবলি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন।
বিভিন্ন আকায়েদের কিতাবে রয়েছে যে,
"হুযুরের অনুরূপ হওয়া অসম্ভব । হুযুরের বিশেষ গুণের ক্ষেত্রে কাউকে হুযুরের গুণের মতো বললে, সে কাফির। (আল-মুতামেদ, ১৩৩পৃ. বাহারে শরীয়ত, ১/১৯পৃ.)
____∞___∞___∞___∞____∞____∞____∞__∞
১৩৫. ইমাম হাকেম নিশাপুরী আল মুস্তাদরাক ২/৬৭১, পৃষ্ঠা হাদিস ও ৪২২৭, ইমাম তকিউদ্দিন সুবকী : শিফাউস সিকাম ৪৫ পৃ., জালালুদ্দীন সুয়ুতি : খাসায়েসুল কোবরা : ১/১৪ হাদিস ও ২১, হাইসামী ও শরহে শামায়েল ১/১৪২ পৃ. আল্লামা শায়খ ইউসূফ বিন নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার ও ২/১১৪ পৃ., ইমাম ইবনে হাইয়্যান ও তাবাকাতে মুহাদ্দিসিনে ইস্পাহানী : ৩/২৮৭পৃ, আবু সা'দ ইবরাহিম নিশাপুরী, শরহে মুস্তফা : ১/১৬৫পৃ.. যুরকানী, শরহুল মাওয়াহেব ; ১২/২২০পৃ.. ইবনে কাসীর, কাসাসুল আম্বিয়া, ১/২৯পৃ.
, দারুল তালিফ, কাহেরা, মিশর, ইবনে কাসীর, সিরাতে নববিয়্যাহ : ১/৩২০পৃ. দারুল মা'রিফ, বয়রুত লেবানন, ইবনে কাসীর, মুজিজাতুন্নাবী : ১/৪৪ ১পৃ, মাকতুবাতুল তওফিকহিয়্যাহ, কাহেরা, মিশর, ইবনে সালেহ শামী, সলুল হুদা ওয়ার রাশাদ : ১২/৪০৩পু, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন ।
১৩৬. দায়লামী ও আল-মুসনাদিল ফিরদাউস : ৫/২২৭পৃ, হাদিস নং,৮০৩১, মোল্লা আলী ক্বারী : আসারুল মারফুআ, ১/২৯৫ পৃ.হাদিস :৩৮৫, পৃ, মুয়াসসতুর রিসালা, বয়রত, লেবানন, শায়খ ইউসূফ নাবহানী ও যাওয়াহিরুল বিহার ও ৪/১৬০ পৃ, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ১১/৪৩১, হাদিস : ৩২০২৫
১৩৭. কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ২/৫পৃ. মাকতাবাতুল তাওফিকহিয়্যাহ, কায়রু, মিশর ।